১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে বিজয় দিবসের কবিতা

বিজয় দিবসের কবিতাঃ ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। আজ বিজয় দিবসের নতুন কিছু কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তাই কবিতা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমরা অনেক সময় বিজয় দিবসের নতুন নতুন কবিতা খুঁজে থাকি। যদি আপনিও খুঁজে থাকেন তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্যই।

আমাদের দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যে কত আত্মত্যাগ করেছেন এই কবিতা গুলোর মধ্যে ফুটে ওঠে। তাই আমাদের সবার উচিত আমাদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা এবং তাদেরকে সম্মান করা। নিচে দেখে নিন বিজয় দিবসের নতুন নতুন কিছু কবিতা।<<<নীরবতা নিয়ে কবিতা>>>

<<<উক্তি ও বাণী>>>

বিজয় দিবসের কবিতা

বিজয় মানে? 

এম, শিমুলজয় সবুজ

—————————————

বিজয় মানে আলোর মিছিল অন্ধকারের তারা

বিজয় মানে উদ্ভাসিত আগামীর স্বপ্নধারা।

বিজয় মানে সবুজ ঘাসের প্রজাপতির উড়াউড়ি,

বিজয় মানে মায়ের কোলের স্বর্গের কাড়াকাড়ি।

বিজয় মানে বাবার শাসন, উজ্জল ভবিষ্যৎ

বিজয় মানে শির তুলে দাঁড়ানো উচ্চাশার পথ।

বিজয় মানে ন্যায়ের পথে অবিরাম আন্দোলন,

বিজয় মানে বাংলার বুকে নতুন জাগরণ।

বিজয় মানে ঝড়ের শেষে সোনালী রোদের হাঁসি

বিজয় মানে পুলকের সুরে বেজে উঠা এক বাঁশি।

বিজয় মানে লাল-সবুজের সোনার বাংলাদেশ,

বিজয় মানে সেরা খ্যাতি, সেরা জাতি, স্বর্গীয় আবেশ।

বিজয় 

ফেরদৌসী খানম রীনা

—————————————

স্বাধীন আমার জন্মভূমি 

অনেক কষ্টে অর্জিত, 

লক্ষ শহিদের ত্যাগের বিনিময়ে 

বিজয় হলো রচিত।

বাংলা আজ বিজয় হলো 

শহীদের অবদান, 

তারাই দেশের গৌরব আর 

গর্বিত সন্তান।

সোনার বাংলায় উড়ে আজ 

বিজয়ের পতাকা, 

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বদলে 

একটি চিত্র আঁকা।

বাংলার মান রাখতে গেলো 

আমার ভাইয়ের প্রাণ,

সবার মুখে মুখে এখন তাই 

বাংলার জয়গান।

বিজয় মানে স্বাধীনত 

মুক্ত হলো দেশ,

নামটি তার অতি মধুর 

সোনার বাংলাদেশ।

১৬ ই ডিসেম্বর

শাহ্ আলম শেখ শান্ত

—————————————

বিজয় হয়েছে অাজ লাল ও সবুজের

জান দিতে হয়েছে লক্ষ বুঝ অবুঝের

হয়েছে স্বাধীন আজ এই সোনার বাংলাদেশ

সুজলা-সুফলা সোনালী ক্ষেতের সমাবেশ ।

প্লাবিত হয়েছে এদেশ আজ বিজয় উল্লাসে

প্রিয়জন হারা অসহ্য শোক ভুলে গেছে হেসে

বুঝেছে দারুণ অত্যাচারী এজাতি নয় ক্ষীণ

অন্যায় রুখতে সজ্জিত থাকে নিশিদিন ।

নতশিরে করে না আপোশ অত্যাচারির ঠেস

রক্ত দিয়ে যতনে গড়েছি সোনার বাংলাদেশ

জলন্ত প্রমাণ তার ১৬ ই ডিসেম্বর

ক্ষমার মঞ্চেও হানাদার কেঁপেছিল থত্থর !

অন্যায়ের গলা টিপে ধরি ভয়কে করি জয়

অক্ষয় ইতিহাস ধরার বুকে বাঙালির  পরিচয়

এদিনেই লিখেছি ধরার বুকে রক্ত দিয়ে বিজয় গাঁথা

চিনে গেছে বিশ্বজাতি বাঙালিদের উঁচুমাথা ।

ষোলই ডিসেম্বর

রোমেন রায়হান

—————————————

মা বলল, শোনরে খোকা আমার কথা শোন, 

“ভাইয়া বলে জড়িয়ে ধরে কাঁদলো ছোট বোন। 

রইল বাবা চুপটি করে আনন্দিত মুখ- 

এমন ছেলের বাবা হওয়ায় অন্য রকম সুখ। 

আঁধার রাতে অস্ত্র হাতে সূর্যোদয়ের খোঁজে- 

যাওয়াটা যে কি প্রয়োজন খোকাই কেবল বোঝে।

স্বাধীন হব আমরা সবাই বাংলা মায়ের ডাকে 

সত্যি সাড়া না দিয়ে সে কেমন করে থাকে। 

বোন ও মাকে ফেছনে ফেলে সেই খোকাটি শেষে 

পণ করলো বাঁচতে হলে বাঁচবে স্বাধীন দেশে।

প্রতিরোধ আর প্রতিবাদের রক্তঝরা দিনে 

দেশের যত বীর খোকারা শত্রু নিলো চিনে।

খোকার মতো অনেক খোকার রক্ত ঝরার পরে,

বাংলাদেশের জন্ম হলো ষোলই ডিসেম্বরে।

Mitu Khatun
Mitu Khatun

আমি মিতু। সবসময় লিখালিখি করতে ভালোবাসি। আর ভালোবাসি স্বাধীনভাবে বেচে থাকতে।

Articles: 210

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *