বাক্য সংকোচন হলো একাধিক পদ বা উপবাক্যকে শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংক্ষেপণ বলে। এটি বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশেরই নামান্তর। এখানে বাক্য সংকোচনের উদাহরণ দেওয়া গেল।
বাক্য সংক্ষেপণের বা বাক্য সংকোচনের উদাহরণ
- অকাল পক্ক হয়েছে যা অকালপক্ক।
- অক্ষির সমক্ষে বর্তমান প্রত্যক্ষ।
- অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার অনভিজ্ঞ।
- অনুতে (বা পশ্চাতে) জন্মেছে যে অনুজ আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত।
- আকাশে বেড়ায় যে আকাশচারী, খেচর। আচারে নিষ্ঠা আছে যার আচারনিষ্ঠ।
- অহংকার নেই যার নিরহংকার।
- মধ্যে একজন অন্যতম।
- কেন্দ্র করে যার চিন্তা আত্মকেন্দ্রিক।
- যে পণ্ডিত মনে করে-পণ্ডিতম্মন্য।
- আল্লাহ্র অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার আস্তিক।
- আল্লাহ্র অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক।
- ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক।
- ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি ইতিহাসবেত্তা।
- ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে জিতেন্দ্রিয়।
- ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার – আঁষটে।
- উপকারীর উপকার যে স্বীকার করে কৃতজ্ঞ।
- উপকারীর উপকার যে স্বীকার করে না অকৃতজ্ঞ।
- উপকারীর অপকার করে যে কৃতঘ্ন।
- একই মাতার উদরে জাত যারা সহোদর। এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত একাদিক্রমে।
- কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী কর্মঠ।
- কোনো ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না অনিবার্য।
- চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত -চাক্ষুষ।
- জীবিত থেকেও যে মৃত জীবস্মৃত।
- নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার নশ্বর।
- নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে নাবিক।
- পা থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদমস্তক।
- যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব।
- তল স্পর্শ করা যায় না যার অতলস্পর্শী। দিনে যে একবার আহার করে একাহারী।
- নদী মেখলা যে দেশের নদীমেখলা।
- ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় ওষধি।
- বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী। বিশ্বজনের হিতকর – বিশ্বজনীন।
- মৃতের মতো অবস্থা যার মুমূর্ষু।
- যা দমন করা যায় না – অদম্য।
- যা দমন করা কষ্টকর দুর্দমনীয়। যা নিবারণ করা কষ্টকর দুর্নিবার।
- যা পূর্বে ছিল এখন নেই – ভূতপূর্ব।
- যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে প্রত্যুৎপন্নমতি।
- যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই অকুতোভয়। যার আকার কুৎসিত কদাকার।
- যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে অযত্নলব্ধ। যা বার বার দুলছে দোদুল্যমান।
- যা দীপ্তি পাচ্ছে দেদীপ্যমান।
- যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন অনন্যসাধারণ।
- যা পূর্বে দেখা যায় নি এমন অদৃষ্টপূর্ব।
- যা কষ্টে জয় করা যায় দুর্জয়।
- যা কষ্টে লাভ করা যায় দুর্লভ।
- যা অধ্যয়ন করা হয়েছে অধীত।
- যা জলে চরে জলচর।
- যা স্থলে চরে স্থলচর।
- যা জলে ও স্থলে চরে উভচর। যা বলা হয় নি অনুক্ত।
- যা কখনো নষ্ট হয় না অবিনশ্বর।
- যা মর্ম স্পর্শ করে – মর্মস্পর্শী।
- যা বলার যোগ্য নয় অকথ্য। যা অতি দীর্ঘ নয় – নাতিদীর্ঘ।
- যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না অজ্ঞাতকুলশীল। যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না বর্ণচোরা।
- যা চিন্তা করা যায় না – অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য।
- যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু-বন্ধুর। যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয় ব্যয়বহুল।
- যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় – নাতিশীতোষ্ণ।
- যার বিশেষ খ্যাতি আছে বিখ্যাত। যা আঘাত পায় নি অনাহত।
- যা উদিত হচ্ছে – উদীয়মান।
- যার অন্য উপায় নেই অনন্যোপায়।
- যার কোনো উপায় নেই নিরুপায়।
- যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে – বর্ধিষ্ণু।
- যা পূর্বে শোনা যায় – অশ্রুতপূর্ব। যে শুনেই মনে রাখতে পারে শ্রুতিধর।
- যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে উদ্বাস্তু।
- যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় স্বয়ংবরা।
- যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না বনস্পতি।
- যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে হাতুড়ে। যে নারীর সন্তান বাঁচে না মৃতবৎসা। যে বিষয়ে কোনো তির্ক (বা বিসংবাদ) নেই অবিসংবাদিত। যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর সুদর্শন। সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা প্রত্যুদ্গমন।
- যে গাছ কোনো কাজে লাগে না আগাছা।
- যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে পরগাছা।
- যে পুরুষ বিয়ে করেছে – কৃতদার। যে মেয়ের বিয়ে হয়নি অনূঢ়া।
- যে ক্রমাগত রোদন করছে রোরুদ্যমান।
- যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না অপরিণামদর্শী।
- যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে অবিমৃষ্যকারী। –
- যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ শ্বাপদসংকুল। যিনি বক্তৃতা দানে পটু— বাগ্মী।
- যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায় সর্বংসহা যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে – বীরপ্রসূ।
- যে নারীর কোনো সন্তান হয় না বন্ধ্যা।
- যে নারী জীবনে একবার সন্তান প্রসব করেছে কাকবন্ধ্যা।
- যে রব শুনে এসেছে রবাহুত।
- লাভ করার ইচ্ছা লিপ্সা।
- শুভ ক্ষণে জন্ম যার ক্ষণজন্মা
- সকলের জন্য প্রযোজ্য সর্বজনীন।
কমন পড়ার উপযোগী ২১৫ টি “এক কথায় প্রকাশ
১.কুকুরের ডাক=বুক্কন
২. রাজহাঁসের ডাক=ক্রেঙ্কার
৩.বিহঙ্গের ডাক / ধ্বনি=কূজন/কাকলি ৪.করার ইচ্ছা=চিকীর্ষা
৫. ক্ষমা করার ইচ্ছা=চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
৬. ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা=তিতীর্ষা
৭. গমন করার ইচ্ছা=জিগমিষা
৮ নিন্দা করার ইচ্ছা-জুগুপ্সা ৯.বেঁচে থাকার ইচ্ছা=জিজীবিষা
১০.পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা
১১.চোখে দেখা যায় এমন চক্ষুগোচর
১২. চোখের নিমেষ না ফেলিয়া=অনিমেষ
১৩.গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র
১৪.মুক্তি পেতে ইচ্ছা=মুমুক্ষা
১৫.বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা
১৬.প্রবেশ করার ইচ্ছা=বিবক্ষা
১৭.বাস করার ইচ্ছা=বিবৎসা
১৮.কমন করিবার ইচ্ছা=বিবমিষা
১৯. রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা=রিরংসা
২০. আমার তুল্য=সাদৃশ
২১. ইহার তুল্য=ইদৃশ
২২.ঋষির তুল্য=ঋষিকল্প
২৩.দেবতার তুল্য দেবোপম
২৪. রন্ধনের যোগ্য=পাচ্য
২৫. জানিবার যোগ্য-জ্ঞাতব্য
২৬. প্রশংসার যোগ্য=প্রশংসাই
২৭.ঘ্রাণের যোগ্য=ঘ্ৰেয়
২৮. যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না=দুলঙ্ঘ্য
২৯.যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না=দুস্তর
৩০. যা বলা হয়েছে=বক্ষ্যমাণ
৩১.যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি=অচিন্তিতপূর্ব ৩২.যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই=অনাস্বাদিতপূর্ব
৩৩.যা পূর্বে শোনা যায় নি=অশ্রুতপূর্ব
৩৪. হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত =হিরন্ময়
৩৫.বাতাসে চরে যে=কপোত
৩৬.পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে যার=জাতিস্বর ৩৭. সরোবরে জন্মায় যাহা-সরোজ
৩৮.সর্বদা ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে=সততসঞ্চরমান
৪০. সকলের জন্য প্রযোজ্য=সর্বজনীন
৩৯.যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে =জাজ্বল্যমান
৪১. সকলের জন্য অনুষ্ঠিত =সার্বজনীন ৪২. প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন=প্রভাতকল্পা
৪৩. রাত্রির মধ্যভাগ=মহানিশা
৪৪.স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=শাস্ত্রজ্ঞ
৪৫. স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি=শাস্ত্রকার
৪৬.যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন=স্মার্ত
৪৭. শক্তির উপাসনা করে যে শাক্ত
৪৮. এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার=অজাতশত্রু
৪৯.এখনও গোঁফ-দাড়ি গজায় নাই যাহার-অজাতশ্মশ্রু
৫০.যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়-মাধুকর
৫১.অন্যদিকে মন নাই যার অনন্যমনা ৫২.খেয়া পার করে যে =পাটনী
৫৩.নিজেকে বড় ভাবে যে-হামবড়া ৫৪.নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে সয়ম্ভূ
৫৫. নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল) =নিদাঘ ৫৬.যা গতিশীল = জঙ্গম
৫৭.যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই অবিসংবাদী
৫৮. স্ত্রীর বশীভূত দ্রূৈণ
৫৯. অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ =অতিসার/অতীসার
৬০. অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ=দাদন
৬১. অতি উচ্চ ধ্বনি =মহানাদ ৬২.অতিশয় রমণীয়-সুরম্য
৬৩.অণুর ভাব-অণিমা
৬৪.অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী আনুপূর্বিক
৬৫.অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে=উন্নাসিক ৬৬.অসির শব্দ=ঝঞ্জনা
৬৭.অন্ধকার রাত্রি =তামসী
৬৮. অশ্বের চালক সাদী ৬৯.ঈষৎ নীলাভবিশিষ্টআনীল
৭০. ঈষৎ উষ্ণ =কবোষ্ণ
৭১.ঈষৎ পাংশু বর্ণ=কয়রা
৭২.আকস্মিক দুর্দৈব =উপদ্রব ৭৩. আঙুর ফল দ্রাক্ষা
৭৪.আজীবন সধবা যে নারী-চিরায়ুষ্মতী
৭৫.উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন=ৱিকথ
৭৬.উটের/হস্তীর শাবক-করভ ৭৭.ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) =আর্য
৭৮. ঋজুর ভাব আর্জব
৭৯. ঋতুর সম্বন্ধে আর্তব ৮০, ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য অনুপান
৮১.কংসের শত্রু যিনি=কংসারি
৮২.কালো হলুদের মিশানো রঙ-কপিশ, কপিল
৮৩. ক্ষুধার অম্লতা=অগ্নিমান্দ্য ৮৪.কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ-অধঃকায়
৮৫.কৃষ্ণবর্ণ হরিণ=কালসার
৮৬. ক্রীড়নশীল তরঙ্গ -চলোমি ৮৭.কাচের তৈরি ঘর-শিশমহল
৮৮.কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে বীতশ্রদ্ধ
৮৯.কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ রত্নি
৯০.কপালে আঁকা তিলক-রসকলি ৯১.কচি তৃণাবৃত ভূমি=শাম্বল
৯২.ক্ষিতি, জল,তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত =চতুভৌতিক
৯৩ গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ দেহলি,দেউড়ি
৯৪.গরম জল উষ্ণোেদক ৯৫. গর্দভের বাসস্থান খরশাল
৯৬. গুরুগৃহে বাস-অস্তেবাসী
৯৭. গ্রন্থাদির অধ্যায় =স্কন্দ
১৮. গুরুর পত্নী গুবী
১৯. গাধার ডাক রাসভ
১০০ ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ পরিমল
১০১ ঘোর অন্ধকার রাত্রি = তামসী, তমিস্রা ১০২.চোখের কোণ অপাঙ্গ
১০৩.ছতারের বৃত্তি-তক্ষণ
১০৪ চিত্তের তৃপ্তিদায়ক দিলখোশ
১০৫ জানায় যে জ্ঞাপক ১০৬. ছিন্ন বস্ত্র-চীর
১০৭. জজের বৃত্তি-জজিয়াতী
১০৮, জলবহুল স্থান = অনুপ, জলা
১০৯. জানা উচিত জ্ঞেয় ১১০. ত্বরার সঙ্গে বর্তমান সত্বর
১১১. ত্বরায় গমন করে যে তুরগ
১১২.তৃণাদির গুচ্ছ=স্তম্ব ১১৩ তরল অথচ গাঢ় সান্দ্র
১১৪.তোপের ধ্বনি=গুড়ুম
১১৫.তস্করের কাজ-তাস্কর্য ১১৬.তোমার মত-ত্বাদৃশ
১১৭.তার মত=তাদৃশ
১১৮.তনুর ভাব=তনিমা
১১৯. থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি-ঠমক ১২০, দাম উদরে যাহার দামোদর
১২১ দেবতা থেকে উৎপন্ন বা দৈবজাত-আধিদৈবিক
১২২. দুরখীর যুদ্ধ – দ্বৈরথ