বিভিন্ন হাদীস অণুসারে, আল্লাহ’র ৯৯টি নামের একটি তালিকা আছে, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিক ক্রম নেই; তাই সম্মিলিত মতৈক্যের ভিত্তিতে কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকাও নেই। তাছাড়া কূরআন এবং হাদিসের বর্ণনা অণুসারে আল্লাহ্’র সর্বমোট নামের সংখ্যা ৯৯-এর অধিক, প্রায় ৪,০০০। অধিকন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক বর্ণিত একটা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ্ তার কিছু নাম মানবজাতির অজ্ঞাত রেখেছেন।
এই নামসমূহের ব্যাপারে ক্বুরআনের বর্ণনায় আল্লাহ তাআলার উদ্ধৃতি এসেছে
“ আল্লাহ বলে আহ্বান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। — সূরা বনী-ইসরাঈল আয়াত ১১০। ”
অনেকগুলো হাদিস দ্বারাই প্রমাণিত যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহ’র অনেকগুলো নাম-এর উল্লেখ করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশুদ্ধ হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) জনাব মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উক্তি বর্ণনা করেন যে,
“ আল্লাহ তাআলার ৯৯টি নাম আছে; সেগুলোকে মুখস্থকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাহলে চলুন আজ আমরা আল্লাহর ৯৯ নাম অর্থ, ফজিলত দোয়া ও আমল সহ, তসবিহ গননা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
দেখে নিনঃ সেহরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২
আল্লাহর ৯৯ নাম ফজিলত ও অর্থসহঃ
১. الله– আল্লাহ -আল্লাহ
প্রত্যহ ১০০০ বার এই নামের জিকির করলে ঈমান দৃঢ় ও মযবুত হয়।
২. الرحمن -আর রাহমান -পরম দয়ালু
প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার পড়লে,ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর থেকে সব ধরনের কঠোরতা ও অলসতা দূর হয়ে যাবে।
৩. الرحيم– আর-রহীম -অতিশয়-মেহেরবান
প্রত্যেক নামাযের পুর ১০০ বার করে পাঠ ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর সকল বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
৪. الْمَلِكُ – আল-মালিক – অধিপতি
যে ফজরের নামাজের পরে প্রতিদিন এই নামটি বহুবার পাঠ করে সে আল্লাহর অনুগ্রহে ধনী হবে।
৫. الْقُدُّوسُ – আল-ক্বুদ্দূস – পূতঃপবিত্র, নিখুঁত
প্রতিদিন যদি কেউ এটি ১০০ বার পাঠ করে তবে বিপদ কখনই কাছে আসে না।
৬. السَّلَامُ – আস-সালাম – শান্তি এবং নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা
যে ব্যক্তি এই নামটি অসুস্থ ব্যক্তির কাছে ১৬০ বার পাঠ করবে , আল্লাহ তাকে সুস্থ করতে সহায়তা করবেন যিনি এই নামটি ঘন ঘন পাঠ করবে আল্লাহ তাকে সমস্ত দুনিয়াবী বিপদ থেকে নিরাপদ রাখবেন।
৭. الْمُؤْمِنُ – আল-মু’মিন – জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী
এই নামটি ৬৩১ বার পাঠ করলে সে ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৮. الْمُهَيْمِنُ – আল-মুহাইমিন – অভিভাবক, প্রতিপালক
যে গোসল করে দুই রাকাত নামায আদায় করে এবং এই নামটি আন্তরিকভাবে একাগ্রতার সাথে ১০০ বার পাঠ করে, আল্লাহ তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থাও পবিত্র করেন।
৯. الْعَزِيزُ – আল-’আযীয – সর্বশক্তিমান, সবচেয়ে সম্মানিত
যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাযের পরে ৪১ বার এই নামটি পাঠ করে সে অন্যের কাছ থেকে প্রয়োজনের বাইরে স্বাধীন হবে এবং অপমানের পরে সম্মান অর্জন করবে।
১০. الْجَبَّارُ – আল-জাব্বার – দুর্নিবার, সমুচ্চ, মহিমান্বিত
যে এই নামটি বার বার পাঠ করে সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে বাধ্য হবে না, এবং সহিংসতা, তীব্রতা বা কঠোরতার দ্বারা প্রকাশিত হবে না।
১১. الْمُتَكَبِّرُ – আল-মুতাকাব্বির – সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত
যে ব্যক্তি এই নামটি অধিক পাঠ করে তাকে মর্যাদা ও সম্মান দেওয়া হবে। প্রতিটি কাজ শুরুর সময় যদি তিনি এই নামটি বারবার পুনরাবৃত্তি করেন তবে তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে সাফল্য অর্জন করবেন।
১২. الْخَالِقُ – আল-খলিক্ব – সৃষ্টিকর্তা
যদি কোন ব্যক্তি টানা ৭ দিন ধরে দৈনিক ১০০ বার এই নামটি পাঠ করে আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য একজন ফেরেশতা নিয়োগ করে দেন।
১৩. الْبَارِئُ – আল-বারি’ – বিবর্ধনকারী, নির্মাণকর্তা, পরিকল্পনাকারী
এই নামটি কেবলমাত্র ইঙ্গিত দেয় যে আল্লাহ সব কিছু অনুপাতে তৈরি করেছেন।
১৪. الْمُصَوِّرُ – আল-মুসউয়ির – আকৃতিদানকারী
২১ বার এই নামটি পাঠ করুন এবং পানিতে ফুঁক দিয়ে একটানা ৭ দিন এটি চালিয়ে যান। রোজা ভাঙার জন্য পানিটি ব্যবহার করুন। ইনশাআল্লাহ, মহিলারা শীঘ্রই একটি সন্তানের দ্বারা আশীর্বাদ পাবেন।
১৫. الْغَفَّارُ – আল-গফ্ফার – পুনঃপুনঃ মার্জনাকারী
যে এই নামটি বারবার করে পাঠ করবে আল্লাহ তার পাপ ক্ষমা করে দিবেন।
১৬. الْقَهَّارُ – আল-ক্বহ্হার – দমনকারী
যে ব্যক্তি এই নামটি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ তার মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন। তার হৃদয়কে পৃথিবীর আকর্ষণ দূরে রাখা হবে এবং অন্তরে শান্তি লাভ করবে। এই নামটি অন্যায় থেকে মুক্তিও দেয়।
১৭. الْوَهَّابُ – আল-ওয়াহ্হাব – স্থাপনকারী
এটি ঘন ঘন পাঠ করলে দারিদ্র্য দূর হবে। চশতের নামাজের শেষ সেজদায় এটি ৪০ বার পাঠ করা ব্যক্তিকে অনাহার থেকে মুক্তি দেয়।
১৮. الرَّزَّاقُ – আর-রযযাক্ব – প্রদানকারী
যে ব্যক্তি এই নামটি বারবার পাঠ করবে তাকে আল্লাহ তায়ালা রিযিক দান করবেন।
১৯. الْفَتَّاحُ – আল-ফাত্তাহ – প্রারম্ভকারী, বিজয়দানকারী
যে এই নামটির বারবার পাঠ করবে তার হৃদয় উদার হবে এবং তাকে বিজয় দেওয়া হবে।
২০. الْعَلِيمُ – আল-’আলীম – সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী
যে ব্যক্তি এই নামটি অধিক পাঠ করবে স্বর্গের আলো দ্বারা তার হৃদয় আলোকিত হবে।
২১. الْقَابِضُ – আল-ক্ববিদ – নিয়ন্ত্রণকারী, সরলপথ প্রদর্শনকারী
যে এই নামটি ৪ টি টুকরো খাবার (ফল, রুটি ইত্যাদি) এ পাঠ করে এবং 40 দিন ধরে খায় সে ক্ষুধা থেকে মুক্ত থাকবে।
২২. الْبَاسِطُ – আল-বাসিত – প্রসারণকারী
যে ব্যক্তি চশতের নামাযের পরে দুই হাত উঁচু করে ১০ বার এই নামটি পাঠ করে, তারপরে হাত দিয়ে মুখটি ঘষে, সে অভাব থেকে মুক্ত হবে।
২৩. الْخَافِضُ – আল-খফিদ্ব – (অবিশ্বাসীদের) অপমানকারী
যারা তিন দিন রোযা রেখে এবং চতুর্থ দিনে একত্রিত হয়ে এই নামটি ৭০ বার বার করে পাঠ করবে , আল্লাহ তাদের শত্রু দ্বারা ক্ষতি থেকে মুক্তি দেবেন। যে ব্যক্তি এই নামটি প্রতিদিন ৫০০ বার করে পাঠ করবে তার প্রয়োজনীয়তা আল্লাহ পূর্ণ করবেন।
২৪. الرَّافِعُ – আর-রফীই’ – উন্নীতকারী
যে এই নামটি দিনরাত ১০১ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সম্মান, ঐশর্য এবং যোগ্যতার দিক থেকে উচ্চতর করে তুলবেন।
২৫. الْمُعِزُّ – আল-মুই’জ্ব – সম্মানপ্রদানকারী
যে ব্যক্তি সোমবার বা শুক্রবার রাতে মাগরিবের নামাজের পরে ১৪০ বার এই নামটি পাঠ করবে , আল্লাহ তাকে অন্যের চোখে সম্মানিত করবেন । সে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করবে না।
২৬. الْمُذِلُّ – আল-মুদ্বি’ল্লু – (অবিশ্বাসীদের) বেইজ্জতকারী
যে এই নামটি ৭৫ বার পাঠ করবে তার পক্ষে যারা ঈর্ষা করে এবং ক্ষতি করতে চায় তাদের দ্বারা সে ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে। আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।
২৭. السَّمِيعُ – আস-সামী’ – সর্বশ্রোতা
যে ব্যক্তি এই নামটি ৫০০, ১০০ বা ৫০ বার বৃহস্পতিবার চশতের নামাজের পরে কারও সাথে কথা না বলে পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে যা চান তা দান করবেন।
২৮. الْبَصِيرُ – আল-বাছীর – সর্বদ্রষ্টা, সর্ববিষয়-দর্শনকারী
যে ব্যক্তি শুক্রবার বিকেলে নামাজের পরে এই নামগুলি ১০০ বার পুনরাবৃত্তি করে আল্লাহ তাআলা এই ব্যক্তিকে তার দৃষ্টিতে আলোকিত করবেন এবং তাঁর হৃদয় আলোকিত করবেন।
২৯. الْحَكَمُ – আল-হা’কাম – বিচারপতি, অটল বিচারক
যে রাতে এই নামটি বহুবার পাঠ করবে, তার কাছে অনেক রহস্য প্রকাশিত হবে ।
৩০. الْعَدْلُ – আল-আ’দল – নিখুঁত, পরিপূর্ণ-ন্যায়বিচারক
শুক্রবার রাতে বা দিনে আপনি যদি এই নামটি কোনও রুটির টুকরোতে লিখে খেয়ে থাকেন তবে লোকে আপনার কথা মানবে।
৩১. اللَّطِيفُ – আল-লাতীফ – অমায়িক, সকল-গোপন-বিষয়ে-অবগত, অপ্রকাশ্য বিষয় ও সূক্ষ্ম বিষয়াবলী সম্পর্কে অবগত
যে প্রতিদিন এই নামটি ১৩৩ বার পাঠ করবে আল্লাহ তার তার উপার্জন বৃদ্ধি করে দিবেন।
৩২. الْخَبِيرُ – আল-খবীর – সম্যক অবগত, সকল ব্যাপারে জ্ঞাত
যদি কোনও ব্যক্তি স্বার্থপর বাসনা এবং খারাপ অভ্যাসের শিকার হন তবে তিনি নিয়মিত এই নামটি পাঠ করলে তিনি সেগুলি থেকে মুক্তি পাবেন।
৩৩. الْحَلِيمُ – আল-হ়ালীম- ধৈর্যবান, প্রশ্রয়দাতা
যিনি এই নামটি কাগজের টুকরোতে লিখে, এটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলেন এবং যে কোনও কিছুতে সেই জলটি ছিটিয়ে দেয় তিনি ক্ষতি এবং বিপর্যয় থেকে নিরাপদ হয়ে যাবেন ।
৩৪. الْعَظِيمُ – আল-’আযীম – সুমহান
নিয়মিত এ নামের যিকির করলে তার মর্যাদা, সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ হবে।
৩৫. الْغَفُورُ – আল-গ’ফূর – মার্জনাকারী
অধিকহারে এই নাম পাঠ করলে, সব রোগবালাই, দুঃখ ও দুর্দশা অপসারণ করা হয়, আল্লাহ্র দোয়া তার সম্পদ এবং সন্তানাদির উপর পরবে। ইনশাআল্লাহ্।
৩৬. الشَّكُورُ – আশ-শাকূর – সুবিবেচক
কোন ব্যক্তি যদি, আর্থিক, মানসিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক সমস্যার সম্মুখিন হন, ৪১ বার আল্লাহ্ এর এই নাম পাঠ করলে, আল্লাহ্ শীঘ্রই উদ্ধার প্রদান করবেন। ইনশাআল্লাহ্।
৩৭. الْعَلِيُّ – আল-’আলিই – মহীয়ান
এ নাম সর্বদা পাঠ করলে ও লিখে সঙ্গে রাখলে ইনশাআল্লাহ্ মর্যাদার উচ্চতা, সচ্ছলতা ও উদ্দেশ্যে সফলতা লাভ করবে।
৩৮. الْكَبِيرُ – আল-কাবীর – সুমহান
কোন ব্যক্তি কে যদি তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে ৭ দিন রোযা রেখে এবং প্রতি দিন এই নাম ১০০০ বার পাঠ করলে, আল্লাহ্ তার পদ কে সম্মান এবং মর্যাদা দিয়ে পুনরায় ফিরিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ্।
৩৯. الْحَفِيظُ – আল-হা’ফীজ – সংরক্ষণকারী
যে ব্যক্তি আধক হারে পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রেখে দিবে, ইনশাআল্লাহ্ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদে থাকবে।
৪০. الْمُقِيتُ – আল-মুক্বীত – লালনপালনকারী
৭ বার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সে পানি শিশুকে খাওয়ালে তার কান্না বন্ধ হয়।
৪১. الْحَسِيبُ – আল-হাসীব – হিসাব-গ্রহণকারী
কোন ব্যাক্ত যদি কোন মানুষ বা কোন জোনস্ কে ভয় পান, তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু আট দিনের জন্য রাতে ও সকালে ৭০ বার এবং ৭০ বার (হাসবিয়াল্লাহুলু-সাসিবু পাঠ করলে, আল্লাহ্ তার ভয় ও মন্দ জিনিসের বিরুদ্ধে সুরুক্ষা প্রদান করবে। ইনশাআল্লাহ্।
৪২. الْجَلِيلُ – আল-জালীল – গৌরবান্বিত
এই নামটি মেশক ও জাফরান দিয়ে লিখে নিজের কাছে রাখবে বা ধুয়ে খেলে, তার সম্মান,মহিমা এবং মর্যাদা দিবে। ইনশাআল্লাহ্
৪৩. الْكَرِيمُ – আল-কারীম – উদার, অকৃপণ, সুমহান দাতা
ঘুমানোর পূর্বে এ নামের যিকির করলে আলেম সৎ লোকের মর্যাদা লাভ হয়।
৪৪. الرَّقِيبُ – আর-রক্বীব – সদা জাগ্রত,অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী, তত্ত্বাবধায়ক
এই নাম ৭ ও তার পরিবারের বার প্রাতাদন পাঠ করলে এবং নিজের উপর ফুঁ দিলে, আল্লাহ্ ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে আপনাকে এবং আপনার সম্পদ রক্ষা করবেন। ইনশাআল্লাহ্
৪৫. الْمُجِيبُ – আল-মুজীব – সাড়া দানকারী, উত্তরদাতা, জবাব-দানকারী, কবুলকারী
সর্বদা এই নাম পাঠ করলে আল্লাহ্ তায়ালা তার দোয়া কবুল করেন আর নামটি লিখে নিজের কাছে রাখলে সে বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।
৪৬. الْوَاسِعُ – আল-ওয়াসি’- অসীম, সর্বত্র বিরাজমান
আধক পারমাণে এ নামের যিকির করলে আল্লাহ্ তায়ালা তাকে প্রকাশ্য ও ভিতরগত অমুখাপেক্ষিতা ও বরকত দান করবে।
৪৭. الْحَكِيمُ – আল-হাকীম – সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ
ক্রমাগত এই নাম পাঠ করলে, আল্লাহ্ তায়ালা তার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞানের দ্বার খুলে দিবেন।
৪৮. الْوَدُودُ – আল-ওয়াদূদ – স্নেহশীল
১০০ বার পড়ে খাদ্যে ফু দিয়ে স্বামী স্ত্রী খেলে তাদের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি হয়।
৪৯. الْمَجِيدُ – আল-মাজীদ – মহিমান্বিত
প্রত্যূহ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার পড়ে শরারে ফু দিলে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৫০. الْبَاعِثُ – আল-বা‘ইস – পুনরুত্থানকারী
নিদ্রার পূর্বে বুকের উপর হাত রেখে ১০০০ বার পড়লে জ্ঞান ও হেকমত বৃদ্ধি পায়।
৫১. الشَّهِيدُ – আশ-শাহীদ – সাক্ষ্যদানকারী
এ নামেরণযাকর বেশী বেশী পড়লে অন্তরের খারাপ বাসনা দূর হয়।
৫২. الْحَقُّ – আল-হাক্ক্ব – প্রকৃত সত্য,
যদি, পরিবারের কোন সদস্য নিখোজ বা পলাতক বা জিনিসপত্র চুরি হয়ে থাকলে, চারকোণ বিশিষ্ট কাগজের চতুষ্কোণে লিখে সেহরীর সময় নামটি হাতের তালুর উপর রেখে আকাশের দিকে উঠিয়ে দোয়া করবে, ইনশাআল্লাহ যে কোন ব্যক্তি অথবা জিনিস পাওয়া যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৫৩. الْوَكِيلُ – আল-ওয়াকীল – সহায় প্রদানকারী,আস্থাভাজন, উকিল
যে ব্যক্তিবিপদ আপদের সময় ভয়ে আধক হারে এই নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
৫৪. الْقَوِيُّ – আল-ক্বউই – ক্ষমতাশালী
জুম্মার পর এ নামের যাকর করলে বাঁচা যায়।
৫৫. الْمَتِينُ – আল মাতীন – সুদৃঢ়, সুস্থির
যে কোন ভদ্রমহিলা এর বুকের দুধের না থাকলে এক টুকরো কাগজের উপর আল্লাহ্ এর এই নাম লিখে পানিতে ডুবিয়ে রেখে তারপর এটি পান করলে তার বুকের মধ্যে দুধ আসবে ইনশাআল্লাহ্।
৫৬. الْوَلِيُّ – আল-ওয়ালিই – বন্ধু, সাহায্যকারী, শুভাকাঙ্ক্ষী
যে ব্যাক্ত আধক হারে এই নামাট পড়বে সে সৃষ্ট জীবের গোপন তথ্য সম্পর্কে জানবে।
৫৭. الْحَمِيدُ – আল-হা’মীদ – সকল প্রশংসার দাবীদার, প্রশংসনীয়
সকল প্রশংসার অধিকারী যে ব্যক্তি ৪৫ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ৯৩ বার নির্জনতায় নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্স সকল অসৎ স্বভাব দূর হয়ে যাবে এবং উত্তম কার্যাবলী প্রকাশ পাবে।
৫৮. الْمُحْصِي – আল-মুহছী – বর্ণনাকারী, গণনাকারী
সকল সৃষ্টির ব্যপারে অবগত যে ব্যাক্ত কটির ২০টি টুকরোর উপর ২০ বার এই নামটি পড়ে ফু দিবে এবং তাহলে ইনশাআল্লাহ্ সৃষ্টি জগত তার অনুগত হয়ে যাবে।
৫৯. الْمُبْدِئُ – আল-মুব্দি’ – অগ্রণী, প্রথম প্রবর্তক, সৃজনকর্তা
যে ব্যক্তি সেহরার সময় গড়বাত নারার পেটের উপর হাত রেখে ৯৯ বার এই নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ না তার গর্ভপাত হবে, না সময়ের আগে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবে।
৬০. الْمُعِيدُ – আল-মু’ঈদ – পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী, পুনরূদ্ধারকারি
কোন ব্যাক্ত হারিয়ে গেলে যখন গৃহের সকল ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়বে তখন হারানো ব্যক্তিকে ফেরত আনার জন্য গৃহের ৪ কোণে ৭০ বার নামটি পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ হারানো ব্যক্তি ৭ দিনের মধ্যে ফেরত আসবে অথবা তার কোন খবর পাওয়া যাবে।
৬১. الْمُحْيِي – আল-মুহ’য়ী – জীবনদানকারী
যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে সে অধিক হারে পাঠ অথবা কোন রোগীর উপর ফু দিবে তাহলে ইনশাআল্লাহ্ সুস্থ হয়ে যাবে।
৬২. الْمُمِيتُ – আল-মুমীত – ধ্বংসকারী, মৃত্যু আনয়নকারী
মৃত্যু দানকারী যে ব্যক্তি আত্মার নিয়ন্ত্রনে না থাকে সে শয়ন কালে বন্ধুদেশে হাত রেখে এই নামটি পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। আল্লাহ্ চান তো তার নফস বাধ্য ও অনুগত হয়ে যাবে।
৬৩. الْحَيُّ – আল-হাইয়্যু – চিরঞ্জীব, যার কোন শেষ নাই
যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০০০ বার এই নামাট পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ্ সে কখনও অসুস্থ হবেনা।
৬৪. الْقَيُّومُ – আল-ক্বইয়ূম – অভিভাবক, জীবিকানির্বাহ প্রদানকারী
যে ব্যক্তি এই নামটি শেষ রাতে আধিকবার ইনশাআল্লাহ্ মানুষের হৃদয়ে তার মর্যাদা পাবে।
৬৫. الْوَاجِدُ – আল-ওয়াজিদ – পর্যবেক্ষক, আবিষ্কর্তা, চিরস্থায়ী
অধিকারী খাওয়ার সময় পড়লে ওই খাদ্য কলবের শাক্ত ও নূর সৃষ্টির সহায়ক হবে।
৬৬. الْمَاجِدُ – আল-মাজিদ – সুপ্রসিদ্ধ
কোন ব্যক্তি নির্জনতায় এই নামটি আধক পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তরের ভিতর আল্লাহ্ এর জ্যোতি প্রকাশ হতে শুরু করবে।
৬৭. الْوَاحِدُ – আল-ওয়াহি’দ – এক, অনন্য, অদ্বিতীয়
প্রত্যহ ১০০০ বার পাঠ করলে মন থেকে ভয় ভীতি দূর হয়ে যাবে।
৬৮. الصَّمَدُ – আস-সমাদ – চিরন্তন, অবিনশ্বর, নির্বিকল্প, সুনিপুণ, স্বয়ং সম্পূর্ণ
যে ব্যক্তি ভোর রাতে অথবা কিছু রাত থাকতে সেজুদায় মাথা রেখে ১১৫ অথুবী ১২৫ বার এই নামটি পড়বে, তার বাহ্যিক ও ভিতরগত ভাবে সত্যবাদিতা লাভ হবে এবং কোন অত্যাচারি দ্বারা পিষ্ট হবেনা।
৬৯. الْقَادِرُ – আল-ক্বদির – সর্বশক্তিমান
যে ব্যক্তি ওজু কুরার সময় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধৌতু করার সময় প্রতিটি জোড়ার উপর এই নামটি পড়বে, সে কখন জালিমের থাবায় আবদ্ধ হবেনা। কোন শত্রু তার উপর বিজয় লাভ করতে পারবেনা।
৭০. الْمُقْتَدِرُ – আল-মুক্বতাদির – প্রভাবশালী, সিদ্ধান্তগ্রহণকারী
যদি কেউ এই নামটি সর্বদা পড়ে তবে তার উদাসীনতা স্মরনের দ্বারা পরিবর্তিত হবে। যে ব্যক্তি নিদ্রা থেকে উঠার পর ২০ বার এই নামটি পড়বে, তবে তার সব কাজ ঠিক এবং সমাধান হয়ে যাবে।
৭১. الْمُقَدِّمُ – আল-মুক্বদ্দিম – অগ্রগতিতে সহায়তা প্রদানকারী
যে ব্যাক্ত যুদ্ধের সময় অধিক হারে পরবে অথবা লিখে নিজের কাছে রাখবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে সামনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা দান করবেন এবং শত্রুদের থেকে নিরাপদ রাখবেন।
৭২. الْمُؤَخِّرُ – আল-মুয়াক্খির – বিলম্বকারী, অবকাশ দানকারী
প্রাতদিন ১০০ বার আল্লাহ্ এর নাম পাঠ করলে, তিনি দুর্মূল্য এবং আল্লাহর প্রিয় হয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ্
৭৩. الْأَوَّلُ – আল-আউয়াল – সর্বপ্রথম, যার কোন শুরু নাই
কোন ব্যক্তি পুত্র সন্তান এর ইচ্ছা পোষণ করলে, ৪০ দিনের জন্য ৪০ বার নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ তার উদ্দেশ্য পুরন হবে।
৭৪ الْآخِرُ – আল-আখির – সর্বশেষ, যার কোন শেষ নাই
যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০০ বার পরবে, তার অন্তর থেকে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কিছুর ভালবাসা দূর হয়ে যাবে।
৭৫. الظَّاهِرُ – আজ-জ’হির – সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান, বাহ্য (যা কিছু দেখা যায়)
প্রত্যহ ইশরাক এর পর ৫০০ বার পড়লে সম্পূর্নরূপে প্রকাশিত দৃষ্টি শক্তি ও অন্তরে নূর লাভ হয়।
৭৬. الْبَاطِنُ – আল-বাত্বিন – লুক্কায়িত, অস্পষ্ট, অন্তরস্থ (যা কিছু দেখা যায় না)
প্রত্যহ ৩৩ বার পড়লে গোপন রহস্য জানা যায়।
৭৭. الْوَالِيَ – আল-ওয়ালি – সুরক্ষাকারী বন্ধু, অনুগ্রহকারী, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভু
এ নামের নিয়মিত যিকির করলে আপদ থেকে রক্ষা করে।
৭৮. الْمُتَعَالِي – আল-মুতা’আলী – সর্বোচ্চ মহিমান্বিত, সুউচ্চ
গুনাবলীর উর্দ্ধে যে ব্যাক্ত আধক বার পরবে, ইনশাআল্লাহ্ তার সমস্যা দূর হবে।
৭৯. الْبَرُّ – আল-বার্র – কল্যাণকারী
কোন ব্যক্তি ৭ বার আল্লাহ্র এই নাম পাঠ করে সন্তান জন্মের পর তার সন্তানের উপর ফুঁ দিলে, আল্লাহ্ বিপর্যয় থেকে তার সন্তান কে সুরক্ষা করবে। ইনশাআল্লাহ্
৮০. التَّوَّابُ – আত-তাওয়াব – বিনম্র, সর্বদা আবর্তিতমান
তাওবার তাওফিক দানকারী এবং কবুলকারী চাশতের নামাযের পর সেজদায় গিয়ে এ নামটি ৩০০ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ তার সত্য তওবা লাভ হবে। যে ব্যাক্তি এ নামটি বার বার পাঠ করবে, তার সকল কর্ম সহজ হবে। যদি কোন অত্যাচারীর উপর ফুঁ দেয়া হয় তবে ইনশাআল্লাহ্ তা থেকে মুক্তি লাভ হবে।
৮১. الْمُنْتَقِمُ – আল-মুন্তাক্বিম – প্রতিফল প্রদানকারী
যে ব্যক্তি ন্যায়ের উপর থাকে এবং শত্রু থেকে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা না থাকে, সে তিন জুম্মা পর্যন্ত অধিকহারে (ইয়া মুনতাক্বিমু। পড়বে, আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তার থেকে প্রতিশোধ নিয়ে নিবেন।
৮২. الْعَفُوُّ – আল-’আফুউ – শাস্তি মউকুফকারী, গুনাহ ক্ষমাকারী
যার প্রচুর গুনাহ আছে, সে লোকাট প্রাতনিয়ত এ নামটি পড়লে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
৮৩. الرَّءُوفُ – আর-র’ওফ – সদয়, সমবেদনা প্রকাশকারী
যে ব্যক্তি দশবার দুরুদ শরীফ এবং দশবার এ নামটি পড়বে, তবে ইনশালাআল্লাহ তার ক্রোধ দূর হয়ে যাবে। অন্য রাগান্বিত ব্যাক্তির উপর দিলে তবে তার রাগ দূর হবে।
৮৪. مَالِكُ الْمُلْكِ – মালিকুল মুলক্ – সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী
যে ব্যক্তি (হয়া মালিকাল মুলক৷ সবদা পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে লোকদের থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। সে কার মুখাপেক্ষী থাকবে না।
৮৫. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ – জুল জালালি ওয়াল ইকরম – মর্যাদা ও ঔদার্যের প্রভু
যে ব্যক্তি অধিকহারে পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মান এবং সৃষ্টজগত থেকে অমুখাপেক্ষীতা দান করবেন।
৮৬. الْمُقْسِطُ – আল-মুক্বসিত – ন্যায়পরায়ণ, প্রতিদানকারী
যে ব্যাক্তি এ নামাট প্রতিদিন ১০০ বার পড়বে, শয়তানের আনিদিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি ৭ বার পড়ে তবে সে উদ্দেশ্য অর্জন হবে।
৮৭. الْجَامِعُ – আল-জামি’ – একত্র আনয়নকারী, ঐক্য সাধনকারী
যার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধব বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, সে চাশতের সময় গোসল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ্র এই নাম ১০০ বার পাঠ করলে তার পরিবারের হারানো সদস্য শিগ্রই খুঁজে পাবেন। ইনশাআল্লাহ্
৮৮. الْغَنِيُّ – আল-গ’নিই – ঐশ্বর্যবান, স্বতন্ত্র
যে ব্যাক্তি প্রতিদিন ৭০ বার এই নামটি পড়বে, আল্লাহ তাআলা তার অর্থ-সম্পদ বরকত দান করবেন। ইনশাল্লাল্লাহ সে কারো মুখাপেক্ষী হবে না।
৮৯. الْمُغْنِي – আল-মুগ’নি – সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী
যে ব্যাক্তি শুরু ও শেষে ১১ বার দুরুদ শরীফ পড়ে এগার শত এগার বার ওযীফার ন্যায় এ নামটি পড়বে, তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে বাহিরগত ও ভিতরগত ধনী করে দিবেন।
৯০. الْمَانِعُ – আল-মানি’ – প্রতিরোধকারী, রক্ষাকর্তা
যদি স্ত্রির সাথে ঝগড়া-বিবাদ অথবা তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে বিছানায় শোয়ার সময় ২০ বার এ নামটি পড়বে, ইনশাল্লাহ ঝগড়া-বিবাদ ও তিক্ততা দূর হয়ে যাবে এবং পরস্পর ভালবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে।
৯১ الضَّارُّ – আদ্দর – যন্ত্রণাদানকারী, উৎপীড়নকারী
এ নামের যিকির করলে সকল ভাল আসবে ইনশাআল্লাহ।
৯২. النَّافِعُ – আন-নাফি’ – অনুগ্রাহক, উপকর্তা, হিতকারী
যে ব্যক্তি কোন পরিচিত স্থানে পৌঁছাবে এবং শুক্রবার রাতে যে ব্যক্তি নৌকা অথবা অন্য কোন যানবাহনে আরোহণের পর অধিকহারে পড়তে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ ইচ্ছানুযায়ী কাজ হবে।
৯৩. النُّورُ – আন-নূর – আলোক
যে ব্যাক্ত জুমার রাতে সাত বার সুরা নূর এবং এক হাজার বার এ নামটি পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর আল্লাহর জ্যোতি দারা আলকিত হয়ে যাবে।
৯৪. الْهَادِي – আল-হাদী – পথপ্রদর্শক
যে ব্যাক্তি হ্রাত উঠিয়ে আকাশ পানে মুখ করে এ নামটি অধিক হারে পড়বে, অবশেষে মুখমন্ডলে হাত মুছে নিবে, ইনশাআল্লাহ্ তার পূর্ণ হেদায়েত লাভ হবে, আর মারেফাত পন্থীদের মধ্যে অন্তভুক্ত হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি কোন দুশ্চিন্তা বিপদাপদ অথবা কোন সমস্যা সম্মুখে আসে, সে ১০০০ বার এ নামটি পড়বে ইনশাআল্লাহ্ সমস্যার সমাধান লাভ হবে।
৯৫. الْبَدِيعُ – আল-বাদী’- অতুলনীয়, অনিধগম্য
জুম্মার রাতে যে ব্যক্তি এ নামটি ১০০ বার পড়বে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে সব ধরনের থেকে নিরাপরাদ রাখবেন।
৯৬. الْبَاقِي – আল-বাকী – অপরিবর্তনীয়, অনন্ত, অসীম, অক্ষয়
যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূর্যোদয়ের পূর্বক্ষণে ১০১ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ সে যাবতীয় দুঃখ-বেদনা, চিন্তা-ভাবনা, কঠোরতা ও বিপদ থেকে মুক্তি থাকবে।
৯৭. الْوَارِثُ – আল-ওয়ারিস’ – সবকিছুর উত্তরাধিকারী
যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এ নামটি একশত বার পড়বে ইনশাআল্লাহ সেদিন সে সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে ও বরকত লাভ হয়। শত্রু ও হিংসুকদের মুখ বন্ধ থাকবে।
৯৮. الرَّشِيدُ – আর-রশীদ – সঠিক পথের নির্দেশক
যে ব্যক্তিনিজের কোন কাজ বা উদ্দেশ্য সমাধানের কোন তদবির বুঝে না আসে, মাগরিব ও এশার মাঝে সে (আর-রাশীদ নামটি ১০০০ বার পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্ স্বপ্নে তদ্বির দেখা যাবে, অথবা অন্তরে ঢেলে দেয়া হবে।
৯৯. الصَّبُورُ – আস-সবূর – ধৈর্যশীল
যে ব্যক্তি নিজের কোন কাজ বা উদ্দেশ্য সমাধানের কোন তদবির বুঝে না আসে, মাগরিব ও এশার মাঝে সে (আর-রাশীদু) নামটি ১০০০ বার পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্ স্বপ্নে তদ্বির দেখা যাবে, অথবা অন্তরে ঢেলে দেয়া হবে।
আল্লাহর ৯৯ নামের ছবি
আল্লাহ তাআলার ৯৯টি নাম মুখস্থকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিজোড় (অর্থাৎ, তিনি একক, এবং এক একটি বিজোড় সংখ্যা), তিনি বিজোড় সংখ্যাকে ভালোবাসেন। আর ইবনে উমরের বর্ণনায় এসেছে যে, (শব্দগুলো হলো) “যে ব্যক্তি সেগুলোকে পড়বে”।”
ক্বুরআনের বর্ণনায় আল্লাহ’র গুণবাচক নামসমূহকে “সুন্দরতম নামসমূহ” (আসমাউল হুসনা/ইসমে আজম) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।